ঢাকা , বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

তরুণরা চাঁদাবাজ‑দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে: হান্নান মাসউদ

আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৬:৩৫:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৬:৩৫:০৫ অপরাহ্ন
তরুণরা চাঁদাবাজ‑দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে: হান্নান মাসউদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা কথা দিচ্ছি আগামীর বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে।

শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আজ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শুরু হয় বিকেল ৪টার পর। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মূল উদ্যোক্তাদের আহ্বানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে আবদুল হান্নান বলেন, তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজ‑দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম করবে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচনের আগে দলে দলে সংঘাত হয়ে কোনো প্রাণহানির ঘটনা তরুণরা ঘটতে দেবে না। আগামীর বাংলাদেশে সকল দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে বসবাস করবে।

নাহিদ ইসলামকে ‘গণতন্ত্রের ইমাম’ আখ্যা দিয়ে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্তি করে হান্নান বলেন, ‘আজকে যেমন আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই অনুষ্ঠানে সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিয়েছে, আগামীর বাংলাদেশে এই তরুণদের নেতৃত্বেই সব রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়া হবে। এটাই এই দেশবাসীর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি।’

হান্নান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অভিযাত্রার ইতিহাস সংক্ষেপে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজ সবাই একটি নতুন ইতিহাসের সাক্ষী। এই ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে ছাত্র‑জনতা। ২৪টি বছর পাকিস্তানের শোষণে ছিলাম। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, আমাদের নিপীড়িত মা‑বোনেরা একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলেন। আমাদের ৭১–এর বীর সেনানীরা, আমাদের শহীদেরা, আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদেরা আমাদের মা‑বোনেরা জীবন দিয়েছিল, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য। কিন্তু কী দেখা গিয়েছিল? ’৭২ থেকে ’৭৫‑এ এসেই এ দেশের মানুষের ওপর একটি দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছিল শেখ মুজিব। সে সময়ের বিরোধী দলের নেতা সিরাজ সিকদারকে হত্যা করেছিল। সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল–কোথায় আজ সিরাজ সিকদার। সেই দাম্ভিক শেখ মুজিবের পরিণতি আমরা দেখেছি।

হান্নান বলেন, আমরা ’৭৭ থেকে তার পরবর্তী সময়ে মেজর জিয়ার শাসনামল দেখেছি, সেটা বাংলাদেশের মানুষকে একটি পথের দিশা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরে আবারও বাংলাদেশ পথ হারিয়েছে। স্বৈরশাসন, একদলীয় শাসন এবং প্রতিটি ইলেকশনের আগেই সংঘর্ষ এ দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছিল। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে মীমাংসা হয়েছিল, তাকে উপেক্ষা করে প্রতিটি নির্বাচনের আগে এক দল আরেক দলের সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষকে সংঘাতে ঠেলে দিয়েছিল। ২০০৭ সালে সেনাশাসনের অবসানের পর শেখ হাসিনা তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ও ভারতের সাথে আপস করে একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদি শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

শেখ হাসিনার শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারপরের ১৬টি বছর এ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার হিংসাত্মক মনোভাবের কারণে বেগম জিয়াকে কীভাবে দিনের পর দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে এ দেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নগুম‑খুন করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ